Red Wheat Flour - গমের লাল আটা (প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মিনিমাম অর্ডার ৫ কেজি)
মাবা ফুডের লাল আটা (Red flour) কেনো সেরা?
সেরা দানার গমের তৈরি লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও খুবই পুষ্টিকর। আমাদের আটা পরিপূর্ণ আঁশযুক্ত । প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষীদের কাছ থেকে সিজনের সময় দেশী জাতের গম সংগ্রহ করে, পরিষ্কার করে, রোদে শুকিয়ে, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে, সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করে ভাঙ্গানো হয়। পুষটিগুণকে প্রাধান্য দেয়া এই আটা আঁশযুক্ত, পরিশোধিত নয়।
* প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মিনিমাম অর্ডার ৫ কেজি।
Hotline Order:
Mon - Fri: 07AM - 06PM
01873111678
সেরা দানার গমের তৈরি লাল ও সাদা আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও খুবই পুষ্টিকর। আমাদের আটা পরিপূর্ণ আঁশযুক্ত । প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষীদের কাছ থেকে সিজনের সময় দেশী জাতের গম সংগ্রহ করে , পরিষ্কার করে , রোদে শুকিয়ে, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ,সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করে ভাঙ্গানো হয় । পুষটিগুণকে প্রাধান্য দেয়া এই আটা ভুসি বা আঁশযুক্ত , পরিশোধিত নয়।
লাল আটার খাদ্য উপাদানঃ
সাধারণত পুষ্টিকর খাবারে ৫ ধরনের উপাদান থাকে। শক্তি উৎপাদক শর্করা, প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল। যেকোনো ধরনের শস্যদানাতে এই উপাদানগুলো থাকে যেগুলো আমাদের দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ শক্তি জুগিয়ে থাকে এবং কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ফলমূল এবং শাকসবজিতেও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। সব ধরনের গমের আটা এবং সাদা ময়দাতেও, সাদা ভাত বা বাদামি ভাতেও প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে।
গমের তৈরি লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও খুবই পুষ্টিকর। কেননা গমের বাইরের লাল বা বাদামি আবরণে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই আবরণ ম্যাগনেশিয়াম নামক খাদ্য উপাদানে ভরপুর। কিন্তু খেতে সুস্বাদু হলেও রিফাইন বা পরিশোধিত সাদা আটার পুষ্টিগুণ অনেক কম। অত্যধিক পরিশোধনের ফলে দেহের জন্য উপকারী কিছু ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ময়দায় আঁশের পরিমাণ কম, এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি।
লাল আটার পুষ্টিগুণ বেশিঃ
গমের বাইরের লাল বা বাদামি আবরণে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই আবরণ ম্যাগনেশিয়াম নামক খাদ্য উপাদানে ভরপুর। এটি এক ধরনের খনিজ উপাদান, যা আমাদের দেহের প্রায় ৩০০ রকমের এনজাইমের কাজ পরিচালনা করে। সাদা আটার তুলনায় লাল আটায় প্রোটিন বেশি থাকে, ফ্যাট কম থাকে, কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে, ক্যালরি কম থাকে। এ ছাড়া লাল আটা- ফলিক এসিড, ফসফরাস, জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ এবং বি৩-এর ভালো উৎস।
৩৮ গ্রাম লাল আটার পুষ্টিগুণঃ
১. ক্যালোরি: ২৮ কিলোক্যালরি
২. ফ্যাট: ২.৫ গ্রাম।
৩. কার্বোহাইড্রেট: ৯.১ গ্রাম।
৪. খাদ্য আশঁ: ২.৮ গ্রাম।
৫. প্রোটিন ৫.৫ গ্রাম।
সুতরাং দেখা যায় সাদা আটার রুটি থেকে লাল আটার রুটির মধ্যে পুষ্টিগুন অনেক বেশি।
লাল আটার উপকারিতাঃ
১. লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
২. ডায়াবেটিস রোগী ও স্থুল রোগীর রক্তে চিনি ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. লাল আটা আঁশ রক্তে ক্ষতিকারক ফ্যাট কমায় ও উপকারি ফ্যাট বাড়ায়।
৪. লাল আটা ক্ষুধা প্রশমিত করে ও অতিরিক্ত ওজন কমায়।
৫. লাল আটায় রয়েছে থায়ামিন যা স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করে। (হাত ও পায়ের নার্ভ সচল রাখে)।
৬. পরির্পূণ পুষ্টি সমৃদ্ধ আঁশযুক্ত গমের আটা সুস্বাস্থের জন্য অপরির্হায।
৭. লাল আটায় লিগনান নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৮. লাল আটা হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারি।
৯. লাল আটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
১০. লাল আটায় প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
লাল আটা আনরিফাইন্ড বা অপরিশোধিত। গম থেকে আটা উৎপাদনের এবং পরিশোধন প্রক্রিয়ায় প্রায় ১৪ রকমের ভিটামিন, ১০ ধরনের খনিজ এবং এতে বিদ্যমান আমিষ নষ্ট হয়ে যায়। সাদা আটায় খাদ্য আঁশের পরিমাণ কম থাকে। তবে ভূসিসমেত লাল আটায় অনেক আঁশ থাকে। তাই লাল আটার রুটি খাওয়ার পর রক্তের গ্লুকোজ ধীরে ধীরে বাড়ে। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধে, ওজন কমাতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লাল আটার জুড়ি নেই।
Add your review
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Please login to write review!
Looks like there are no reviews yet.